ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে মারধর এবং পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুনকে বরখাস্ত কেন্দ্র করে আলোচনা ডালপালা ছড়ানোর পর সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন এডিসি সানজিদা আফরিন নিপা।
সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে সানজিদা বলেন, শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। সেখানে ছিলেন সদ্য সাময়িক বরখাস্ত আলোচিত এডিসি হারুন। এ সময় হাসপাতালে গিয়ে সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুনই প্রথমে হারুনের ওপর হামলা চালান।
সানজিদা বলেন, ‘শনিবার রাতে বারডেম হাসপাতালে আমি চিকিৎসা নিতে যাই সেখানে তাকে (হারুন) পেটানো হয়। আমি ইসিজি রুমে থাকাকালীন এ হামলার ঘটনা ঘটায় দেখতে পাইনি।’
এডিসি হারুনকে কে হাসপাতালে ডেকেছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ডাক্তারের সিরিয়ালের জন্য এডিসি হারুনের শুধু সহযোগিতা নিয়েছিলাম। হারুন সেখানে এসে আমাকে ডাক্তারের সিরিয়ালের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। এ ছাড়া আর কিছুই জানি না।’
এডিসি হারুনের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘হারুনের সাথে আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। সে শুধুমাত্র আমার কলিগ।’
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কম্পাউন্ডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদও হাসপাতালে এডিসি হারুনের ওপর আগে হামলা হয়েছে বলে জানান।
এর আগে, সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করেন সংগঠনিক সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। এরপরই বিকেলে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমানের (বিপিএএ) স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এডিসি হারুনকে বরখাস্ত করা হয়।
এর আগে, শনিবার রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে বেদম মারধর করেন পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত